দেবযানী বসুর কবিতা
ঘামগন্ধের চিকিৎসা
১.
ছদ্মবর্ষার পোশাকে কম্ফোর্ট - তরল. প্রাচিনা বর্ষার ময়না তদন্তে পাই বিদ্যাপতির ঘাম. এ সময়ে ভ্রমণের আলাদা টুপি. চুলের তেলের বিজ্ঞাপনের সরলতা আমাদের মুখে. ভিটামিনের উদ্বেগ... উত্তেজনা. তাই মেনে মাঝে মাঝে আমি কেশচিহ্নিত.
২.
নক্ষত্র পোড়া ছাই লাগে ত্বকের পরিচর্যায়. হাত পা বেঁধে মঞ্চে তোলো পচা লিপস্টিকদের. চোরেরা অবতার চুরি করে কোথায় জমাচ্ছে ? টাকা সেলাই করে ডানা তৈরি. বেশ জোরদার পাখি পাখি দিন গুজরান. তাতে মশলাদার নুডল্সের বাসা বানাই. এখন সবার সঙ্গে কথা বাকি রয়ে যায়.
৩.
রাস্তা জুড়ে বসে গ্যাছে বুভুক্ষু ক্যাকটাস. না ফল না ফুল যারা চড়েছে তাদের ঘাড়ে. বস্তুত তোলাবাজি লাল ধাগা কব্জা করে. আষাড়ু বিপদ. কুয়াশা পুড়িয়ে পুড়িয়ে সূর্যমুখি মহল. সবে ঘোলস্নান করে উঠেছি. কব্জি কেটে সাইকেল পথ করে নিয়েছে.
৪.
চব্বিশ বোতলের দল. হুমড়ি খেয়ে পড়ছে গবেষকরা. গবেষক মানেই ট্রপিকাল পিপীলিকা. নদীর গলায় চেপে বসা শহর জেলিফিশের নামে শপথ নেয় ছদ্মনাম নেবার. বেদনাহর শাপলায় ঢাকা নদীপথ রামধনু ডেকে নামায়. ওষুধ ঐ পথে পালাতে চেয়েছেন.
৫.
হত্যে দিয়ে পড়েছে হাঁড়িকাঠ. কি নেবে কি দেবে মনোযোগ ছাড়া. আতশ কাঁচের ব্যাখ্যা মেনে নিই. মূত্র থেকে বেরোনো সূত্র ঘুরিয়ে দেয় নদীর মুখ. টানাগদ্য আছড়ে পড়ে উপকূলে. ফাট ধরা. গুছিয়ে নিতে পারি নি. ঈর্ষার ব্যাথালোজিক্যাল ব্যাখ্যা চলতেই থাকে.
No comments:
Post a Comment