টি-পয়েন্ট

টি-পয়েন্ট

পীযূষকান্তি বিশ্বাস 


শূন্যকালে সম্পাদকীয় লেখার চল নেই । দরকার পড়েনি । বিন্যাস ও বিষয়বস্তুর প্রাসংগিকতার উপস্থাপনের উপর ভিত্তি করে শূন্যকাল নিজেকে প্রকাশ করেছে । ব্যক্তির থেকে ব্যক্তিত্বকে বেশী প্রকাশ করতে চেয়েছে । 'কি' অথবা 'কেন' কখনো বলার প্রয়োজন হয়নি । নিজের আংগিকেই ১৯ টা সংখ্যা পার করে বের হয়ে এলো শূন্যকাল ।    

কোন সংখ্যাই কনক্লুসিভ হয় না । কিন্তু শুরু আর শেষ কোথাও গিয়ে সাক্ষাৎ করে । কবি দীপংকর দত্তের অদম্য সাহস ও গতানুগতিক নিরাপদ কবিতা না লিখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই শূন্যকালকে আলাদা একটা পরিসর ও গতি দিয়েছিলো ।  তার অকস্মাৎ মৃত্যুতে শূন্যকালের ও সেই গতি তখন থমকে দাঁড়ানোর উপক্রম । শূন্যকালের লেখকগোষ্ঠীরদের লেখা ও তাদের সৃষ্ট বিভিন্ন ব্লগগুলি যাতে ঠিকানাহীন না হয়ে পড়ে,  যাতে শূন্যকালের বিভিন্ন লিঙ্কগুলো কে এক ছাতার নীচে এনে আর্কাইভ করে ফেলা যায় তার একটা তাগিদ অনুভব করতে থাকি । দীপংকর বেঁচে থাকতে টেকনিক্যাল কাজগুলো যদিও আমিই করতাম, তবু এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবিনি, ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য তৈরী ছিলো না শূন্যকাল । শূন্যকালের গতি প্রবাহের মোমেন্টাম বজিয়ে রাখার জন্যও এই ওয়েবজিন যে কোন মূল্যে চালিয়ে যাবার দরকার ছিলো । আমার পক্ষে  যা ছিলো একটা চ্যালেঞ্জ ।  একজন কেয়ারটেকার সরকারের মতই আমি কাজটা করছিলাম । শূন্যকালের লেখা, দীপংকরের বিভিন্ন কবিতা, ই-বুক, রিভিউ এর লিঙ্কগুলি সংরক্ষন করা জরুরী মনে করে আমি এই পর্যন্ত তিনটে সংখ্যা বের করলাম ।

প্রাথমিক পর্বে এই ভাবে শুরু করেছি যাতে এই যাবৎ যত ইস্যু বেরিয়েছে তাদের একটা পারমানেন্ট ঠিকানা দেওয়া  যায় । যাতে কোনভাবেই লেখাগুলি হারিয়ে না যায় । সমস্ত লেখাগুলিকে একজায়গায় করা, তাদেরকে সঠিক লিঙ্ক-আপ করা, আগ্রহী ব্যক্তিদের সেই ঠিকানা জানানো ও শূন্যকালের মোমেন্টামকে একই গতিতে প্রবাহিত করা ছিলো প্রাথমিক কাজ । পত্রিকার সমস্ত অপারেশন যাতে ব্যক্তি নির্ভর না হয়ে ওঠে, সেই কারণে আলাদা ইমেল খোলা হলো । ব্লগ একাউন্ট ও আলাদা খোলা হয়েছে । বলা যায় এখন এই পত্রিকাটি চালানোর জন্য সম্পাদক মন্ডলী গঠন করা যায় । এবং আগামীতে সেই চেষ্টা থাকবে একটা কমিটি হিসাবে যদি শূন্যকালকে চালানো যায় । আমি আমার সীমিত জ্ঞান ও সাহিত্য অভিজ্ঞতা নিয়ে এইটুকুই করতে পারলাম ।

আর যেহেতু আমার মনে হইয়, প্রাথমিক কাজের পর্বটা প্লান মাফিক আমি শেষ করে উঠতে পেরেছি, তাই একটা ডকুমেন্টশন করার দরকার মনে হলো । প্রথমেই দরকার ছিলো , একটা স্থায়ী ঠিকানা । যা আগামী প্রজন্মের জন্য জরুরী । শূন্যকাল বা দীপংকর দত্তের খোঁজে, অদূর ভবিষ্যতে কেউ না কেউ যদি ওয়েব বা সার্চ ইঞ্জিন খুঁজতে খুঁজতে আসে, এখানেই তারা পাবেন দরকারী তথ্যসমূহ । অথবা কেউ কোন পত্রিকায় রেফারেন্স দিতে চায়, বা কোট করতে চায়, এই ঠিকানাটার দরকার হবে ।  ব্লগস্পটে চলাকালীন শূন্যকালের এই স্থায়ী URL আর পরিবর্তন করা হবে না ।

 স্থায়ী URLঃ https://shunyokaal.blogspot.in/


আপনি 1 - আড্রেস লেখা জায়গাটায় URL টা পাবেন অথবা এখান থেকে কপি করে পেস্ট করতে পারেন । তারপর উপরে দেওয়া পেজে এসে পৌঁছাবেন ।  সময় থেকে সময় এই পেজের রং ও ছবি পালটে যেতে পারে । আপনাকে যেটা দেখতে হবে সেই জায়গাটা হলো  2 - পূর্ববর্তী সংখ্যা । 



এই পরবর্তী সংখ্যার ড্রপডাউনে আপনি পেয়ে যাবেন সমস্ত পুরানো ইস্যুগুলো । যতদিন গুগল থাকবে, ব্লগস্পট থাকবে, এই লিঙ্কগুলো এখানেই পাবেন । যদি কোন রিসার্চ বা আগ্রহী পাঠক কোনদিন এই খানে এসে পৌঁছান তাদের জন্য  ।

এই ছাড়াও দীপংকর দত্তের অন্যান্য লেখাগুলি সম্পর্কে যারা আগ্রহী তাদের জন্য এখানে আর একটা লিঙ্ক দিয়ে রাখি । ব্যক্তিগত ব্লগ ও ইবুক এখান থেকে সংগ্রহ করা যাবে । এই ব্লগের ইমেল ঠিকানা হলো - zerohour1017@gmail.com । যতদিন শূন্যকাল লাইভ থাকবে , ততদিন কেউ না কেউ এই ইমেল চেক করবেন । এর বাইরেও যদি কারো কিছু জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকে, আমার ব্যক্তিগত ইমেল - softestpk@gmail.com এ যোগাযোগ করতে পারেন ।

দরকারী কিছু লিঙ্কঃ



ফেসবুকঃ

ওয়েব সাইটঃ


দীপঙ্কর দত্ত দ্বারা সম্পাদিত শেষ শূন্যকালঃ
http://shunyokaal16.blogspot.in/

দীপঙ্কর দত্তের কবিতাঃ
PDF DIPANKAR DATTAR KOBITA.pdf

দীপঙ্কর দত্ত দ্বারা সম্পাদিত জিরো আওয়ারঃ
http://zerohourdelhi.blogspot.in/

 

1 comment:

Facebook Comments